তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারা (বিএনপি) দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, শুধু তা নয়; তারা যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছে ক্রমাগতভাবে সেটির প্রমাণ গতকাল বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপরে প্রতিষ্ঠিত।’

বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়াতে বিএনপি প্রচণ্ডভাবে আহত হয়েছে। বিএনপি প্রচণ্ডভাবে হতাশ। ডাক্তাররা কেন তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিলেন। আমি আশা করবো তারা এ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার যে পথ বেছে নিয়েছেন, সেটি থেকে ফিরে এসে মানুষের মন জয় করার কর্মসূচি নেবে।’
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশে চিঠি লিখে, লবিস্টের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে।

সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের লেখা দুটি চিঠি গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান। চিঠি দুটি লেখা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দলটির নেতারা যে চুক্তি করেছেন, তার নথিও তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তারা যে কাজগুলো করেছে, করছে এগুলো রাষ্ট্রদোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো এ বিষয়ে ইনভেস্টিগেশন করে, তারা কাজ শুরু করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো লবিস্ট নিয়োগ করে, দেশকে ব্রিবত করার জন্য এবং দেশের রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য, দেশের ভাতমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য, যে রাজনৈতিক দলগুলো এসব করে তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’

তবে সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগের কথা বলেছেন-পৃথিবীর প্রায় সব উন্নয়নশীল দেশ, দেশের রফতানি বাড়ানোর জন্য, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য এবং দেশের পর্যটন বাড়ানোর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে। বাংলাদেশ সরকারও পিআর নিয়োগ করেছে এবং এটি পৃথিবীর সব উন্নয়নশীল দেশেই হয়।’

তিনি বলেন, ‘এই পিআর ফার্ম নিয়োগ করার ফলে আমাদের রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আমাদের ভাবমূর্তি আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।’

 

কলমকথা/বি সুলতানা